ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও জামানত বিহীন লোণ
আপনার বিজনেস আইডিয়াতে মূলধন দেবার জন্য বেশ কয়েকটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম কাজ করছে। বাংলাদেশে পরিচিত ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মধ্যে আছেঃ
ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল,
ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লি,
বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড,
লংকা বাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড,
এথেনা ভেঞ্চার এবং ইকুইটি লিমিটেড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসইমি ফান্ড
(এদের সম্পর্কে জানতে ও কিভাবে ফান্ড পাওয়া যাবে তা জানতে এদের ওয়েব সাইট গুলো ভিজিট করুন)
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি এই তহবিল ব্যবস্থাপনা করে। বিনিময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ফি পায়। ভেঞ্চার ফান্ডের মেয়াদ দীর্ঘ। ৫ থেকে ১৫ বছর। ভেঞ্চার ফান্ডে যারা বিনিয়োগ করে তাদের লিমিটেড পার্টনার বা এলপি বলে। আর যারা এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ করে তাদের জেনারেল পার্টনার বা জিপি বলে। জেনারেল পার্টনাররা টাকার সাথে সাথে নিজেরা তহবিল ব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকেন। স্টার্ট আপ বাছাই করেন, নিরীক্ষা বা ডিউ ডেলিজেন্স করেন। বিনিয়োগের পর বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন, তাদের পর্ষদে পরিচালক হিসাবে বসেন। ভেঞ্চার ফান্ড থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়। ভেঞ্চার ফার্ম বা কোম্পানি এই বিনিয়োগের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বিনিয়োগ দীর্ঘ মেয়াদের। তিন থেকে আট বছর পর্যন্ত।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটি উদ্যোগের বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থায়ন করেঃ
(১) সিড বা বীজ, অর্থাৎ ব্যবসা যখন উদ্যোক্তার মনে আইডিয়া আকারে থাকে
(২) উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরুর জন্য কাজ শুরু করেছে কিন্তু বিক্রয় শুরু হয়নি,
(৩) ভালো আয় আসছে, ব্রেক ইভেন হয়েছে বা কাছাকাছি।
শুধু দুস্প্রাপ্যতা বা প্রাপ্তির জটিলতা নয়, নতুন উদ্যোক্তার জন্য ব্যাংক ঋণ, প্রকৃতিগতভাবে, অসুবিধাজনক। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পর থেকেই সুদ আরোপ শুরু হয়। অথচ ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ে লোকসান হওয়া স্বাভাবিক।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বলা হয় স্মার্ট মানি। এখানে শুধু অর্থ নয়, তারও অধিক কিছু মিলে। বুদ্ধি পরামর্শ, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি। ঋণের মত, নিরাপদ নয়। ঋণের ক্ষেত্রে জামানত থাকে। জামিনদার থাকে। আইনের সুরক্ষা থাকে। ঋণীকে একগাদা আইনি কাগজপত্রে সাক্ষর দিতে হয়। পক্ষান্তরে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিনিয়োজিত কোম্পানির লাভ লোকসানের ভাগিদার। উক্ত কোম্পানির লোকসান মানে তার লোকসান।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আপনার পার্টনার, মজার ব্যপার হচ্ছে প্রাধান্য আপনারই বেশি থাকবে যাকে ইংরেজিতে মেজরিটি বলে থাকি। মানে বেশীরভাগ শেয়ার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নিয়ে যায়না ব্যবসায়ের বেশীরভাগ শেয়ার এবং কতৃত্ব উদ্যোক্তারই থাকে। তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চাইবে আপনাকে কীভাবে সফলতায় নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক তার উল্টো আপনি কিভাবে ব্যবসা করেছেন বা কিভাবে লাভ লস করেছেন সেটা আপনার ব্যাপার আপনি ঋনের টাকা ও সুদ পরিশোধ করতেই হবে। ব্যাংক সাধারণত নতুন উদ্যোক্তাদের ফাইন্যান্স করেনা কিন্তু এখানে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম একটা ভরসার জায়গা৷ তবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্যবসায়িক আইডিয়া শেয়ার করতে হবে তাদের সাথে।